বাইনারি, অক্টাল ও হেক্সাডেসিমেল থেকে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর
বাইনারি, অক্টাল ও হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাকে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তরঃ
- বাইনারি সংখ্যাকে ডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর
- অক্টাল সংখ্যাকে ডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর
- হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাকে ডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর
৪। বাইনারি ➨ ডেসিমেল/দশমিক (Binary to Decimal)
ধাপ-১ঃ বাইনারি থেকে ডেসিমাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে BCD কোড [ 8 4 2 1 ফর্মুলা ] পদ্ধতিতে ও রূপান্তর করা যায়।
ধাপ-২ঃ বাইনারি থেকে ডেসিমাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডিজিট × (বাইনারি বেজ)ডিজিট পজিশন বের করে গুণফল গুলোর যোগফল নির্ণয় করতে হবে।
[কেবল মাত্র BCD কোড পদ্ধতিতে রূপান্তর করতে বলা হলেই ধাপঃ ১ পদ্ধতিতে করতে হবে, অন্যথায় ধাপঃ ২ পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে]
পূর্ণ সংখ্যার ক্ষেত্রেঃ
উদাহরণঃ (110101)2 সংখ্যাকে ডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর।সুতরাং (110101)2 = (53)10
ভগ্নাংশের ক্ষেত্রেঃ
উদাহরণঃ (.1010)2 সংখ্যাকে ডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর।
[পূর্ন সংখ্যার ক্ষেত্রে ডিজিট পজিশন শুরু হয় ০ থেকে (ডান থেকে বাম দিকে) এবং ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে ডিজিট পজিশন শুরু হয় -১ থেকে (বাম থেকে ডান দিকে)]
সুতরাং (.1010)2 = (.625)10
- (101010.0101)2 কে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর কর।
- (1100011.10101)2 কে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর কর।
৫। অক্টাল ➨ ডেসিমেল/দশমিক (Ocatl to Decimal)
অক্টাল থেকে ডেসিমাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডিজিট × (অক্টাল বেজ)ডিজিট পজিশন বের করে গুণফল গুলোর যোগফল নির্ণয় করতে হবে।
পূর্ণ সংখ্যার ক্ষেত্রেঃ
উদাহরণঃ (375)8 সংখ্যাকে ডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর।
সুতরাং (375)8 = (253)10
ভগ্নাংশের ক্ষেত্রেঃ
উদাহরণঃ (.125)8 সংখ্যাকে ডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর।
[পূর্ন সংখ্যার ক্ষেত্রে ডিজিট পজিশন শুরু হয় ০ থেকে (ডান থেকে বাম দিকে) এবং ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে ডিজিট পজিশন শুরু হয় -১ থেকে (বাম থেকে ডান দিকে)]
সুতরাং (.125)8 = (.166)10
- (567.247)8 কে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর কর।
- (3702.6040)8 কে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর কর।
৬। হেক্সাডেসিমেল ➨ ডেসিমেল/দশমিক (Hexadecimal To Decimal)
হেক্সাডেসিমেল থেকে ডেসিমাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডিজিট × (হেক্সাডেসিমেল বেজ)ডিজিট পজিশন বের করে গুণফল গুলোর যোগফল নির্ণয় করতে হবে।
পূর্ণ সংখ্যার ক্ষেত্রেঃ
উদাহরণঃ (3FC)16 সংখ্যাকে ডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর।সুতরাং (3FC)16 = (1020)10
ভগ্নাংশের ক্ষেত্রেঃ
উদাহরণঃ (.2B)16 সংখ্যাকে ডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর।
[পূর্ন সংখ্যার ক্ষেত্রে ডিজিট পজিশন শুরু হয় ০ থেকে (ডান থেকে বাম দিকে) এবং ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে ডিজিট পজিশন শুরু হয় -১ থেকে (বাম থেকে ডান দিকে)]
সুতরাং (.2B)16 = (.168)10
- (7A6B.9B8)16 কে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর কর।
- (89A.10F)16 কে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর কর।
এক নজরে দেখে নেই
➨ বাইনারি থেকে ডেসিমেল রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডিজিট × (অক্টাল বেজ)ডিজিট পজিশন বের করে গুণফল গুলোর যোগফল নির্ণয় করতে হবে।
➨ অক্টাল থেকে ডেসিমেল রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডিজিট × (অক্টাল বেজ)ডিজিট পজিশন বের করে গুণফল গুলোর যোগফল নির্ণয় করতে হবে।
➨ হেক্সাডেসিমেল থেকে ডেসিমেল রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডিজিট × (হেক্সাডেসিমেল বেজ)ডিজিট পজিশন বের করে গুণফল গুলোর যোগফল নির্ণয় করতে হবে।